শাহ্ সিমেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগ এ গতবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পুলিশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা জয় অক্ষুন্ন রাখার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ ১১ খেলায় ২০ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপা জয় করে। প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগে এটি বাংলাদেশ পুলিশের হ্যাট্রিক শিরোপা জয়। ইতিপূর্বে ২০১৯ এবং ২০২০ সনের প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগেও বাংলাদেশ পুলিশ শিরোপা জয় করেছিল। বাংলাদেশ পুলিশ দলের পক্ষে এবারের প্রিমিয়ার ডিভিশন দাবা লিগে অংশগ্রহণ করেনঃ অধিনায়ক-ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, খেলোয়াড়-ভারতের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার এরিগাসি অর্জুন ভারতের জাতীয় রানার-আপ গ্র্যান্ড মাস্টার ডি, গুকেশ, গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান, গ্র্যান্ড মাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও ফিদে মাস্টার মেহেদী হাসান পরাগ। শেষ রাউন্ডের খেলায় বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশ বিমান দলের সাথে ২-২ গেম পয়েন্টে ড্র করেন।
সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব রানার্স-আপ ও বাংলাদেশ বিমান তৃতীয় স্থান লাভ করে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও বাংলাদেশ বিমান উভয়েই ১১ খেলায় ১৮ পয়েন্ট করে অর্জন করে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ৩১ গেম পয়েন্ট নিয়ে রানার্স-আপ ও বাংলাদেশ বিমান ২৮ গেম পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন অধিনায়ক-আন্তর্জাতিক অর্গানাইজার মাহমুদা হক চৌধুরী মলি, খেলোয়াড়-গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, ইরানের গ্র্যান্ড মাস্টার ইয়ানি পাউয়া, জর্জিয়ার গ্র্যান্ড মাস্টার মিখাইল মচেডলিশভ্যালি, জাতীয় চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব, গ্র্যান্ড মাস্টার রিফাত বিন সাত্তার ও ফিদে মাস্টার মোঃ তৈয়বুর রহমান। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন অধিনায়ক-শাকিল মিরাজ, খেলোয়াড়- ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার অভিম্যানু পৌরনিক, ভারতীয় গ্র্যান্ড মাস্টার মিত্রভা গুহ, আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান শাকিল, ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া, ক্যান্ডিডেট মাস্টার নাইম হক ও সাদাত ইবনে সুলতান।
রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ ১২ ম্যাচ পয়েন্ট ও ২২.৫ গেম পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ও শাহিন চেস ক্লাব ১২ ম্যাচ পয়েন্ট ও ২২ গেম পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থান লাভ করে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানহা’স ক্যাসেল ষষ্ঠ স্থান পায়। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিতাস ক্লাব সপ্তম, ৮ ম্যাচ পয়েন্ট ও ২১ গেম পয়েন্ট নিয়ে উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাব অষ্টম, ৮ ম্যাচ পয়েন্ট ও ১৯.৫ গেম পয়েন্ট নিয়ে লিওনাইন চেস ক্লাব নবম, ৭ ম্যাচ পয়েন্ট নিয়ে শেখ রাসেল চেস ক্লাব দশম, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ৬ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ ও ২ পয়েন্ট নিয়ে জনতা ব্যাংক অফিসার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি দ্বাদশ হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও জনতা ব্যাংক অফিসার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্রথম বিভাগে নেমে গেছে।
বোর্ড পুরস্কারঃ প্রথম বোর্ড-গ্র্যান্ড মাস্টার নিয়াজ মোরশেদ (সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব) ৭ খেলায় ৫.৫, ২৩৪১ রেটিং পারফরমেন্স, দ্বিতীয় বোর্ড-গ্র্যান্ড মাস্টার ইদানি পাওয়া (সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব) ১০ খেলায় ১১, ২৭৭৭ রেটিং পারফরমেন্স, তৃতীয় বোর্ড-গ্র্যান্ড মাস্টার অভিম্যানু পৌরনিক (বাংলাদেশ বিমান) ১১ খেলায় ৯.৫, ২৫৭৮ রেটিং পারফরমেন্স, চতুর্থ বোর্ড-গ্র্যান্ড মাস্টার মেনডোনকা লিয়ন লুকে (ম্যানহা’স ক্যাসেল) ১১ খেলায় ৯.৫, ২৬২২ রেটিং পারফরমেন্স, অতিরিক্ত ১ বোর্ড- গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান (বাংলাদেশ পুলিশ) ৭ খেলায় ৪.৫, ২৪৭৫ রেটিং পারফরমেন্স এবং অতিরিক্ত ২ বোর্ড-ক্যান্ডিডেট মাস্টার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (তিতাস ক্লাব) ৮ খেলায় ৪.৫, ২২১১ রেটিং পারফরমেন্স।
আজ (রোববার) সকাল হতে তোপখানা রোডস্থ এশিয়া হোটেল এন্ড রিসোর্টের ক্রাউন হলে একাদশ বা শেষ রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। শেষ রাউন্ডের খেলায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ৩.৫-০.৫ গেম পয়েন্টে শেখ রাসেল চেস ক্লাবকে, রূপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ ৩-১ গেম পয়েন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে, তিতাস ক্লাব ৩-১ গেম পয়েন্টে জনতা ব্যাংক অফিসার ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে পরাজিত করে। ম্যানহা’স ক্যাসেল ২-২ গেম পয়েন্টে শাহিন চেস ক্লাবের সাথে ও উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাব ২-২ গেম পয়েন্টে লিওনাইন চেস ক্লাবের সাথে ড্র করে।